মানবসেবার জন্য শিবগঞ্জের তাজ পরিবারের সন্তান মোঃ ওজিউল মিয়া সততা, সদিচ্ছা ও সাহসিকতার যথাযথ ব্যবহার এবং প্রয়োগ করে, সমাজ দেশ ও জাতিকে কিছু উপহার দিতে পেরেছিলেন শতভাগ টানার আগেই যেন ইতিহাস ও সমাপ্ত ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার বাগানটুলী গ্রামের কৃতি সন্তান মোঃ ওজিউল মিয়া তার এক উজ্জ্বল উদাহরণ। একজন সৎ, সাধারণ গর্বিত পিতার সন্তান পিতার প্রদর্শিত আদর্শ ও শিক্ষা-দীক্ষায় দীক্ষিত এবং অনুপ্রাণিত উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে মানব সেবাই তার অবদানকে এখনো স্মৃতি হয়ে রয়েছে তার শিবগঞ্জ পৌরসভার অবহেলিত মানুষের পাশে অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে সেবা দিয়ে পাশে ছিলেন।
এরপর একজন সৎ ও সফল ব্যবসায়ী হিসেবে নির্বাচিত হয়ে দারুণ সফলতা লাভ করেছিলেন। তার সেবার মানকে প্রসারিত করতে গিয়ে তিনি পৌর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন সবকিছু ঠিকঠাক ছিল তার মধ্যে একটি কুচক্রী মহাল এই নির্বাচন ব্যবস্থাকে কুক্ষিগত করে তাকে সর্বপ্রকার নির্যাতনের রুলার তার ওপর পৃষ্ঠ করে। যার কারণে তাকে অকালে মৃত্যুবরণ করতে হয়।
আমরা দেখেছি, মরণশীল মানুষ তার কর্মে বেঁচে থাকেন। সময়ের সীমা ছাড়িয়ে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে পড়তে পারেন। এই ছড়িয়ে পড়ার বাহন হয় ভালো কাজ। মোঃ ওজিউল মিয়া, এমনই একজন মানুষ। যিনি অনেক ভালো কর্মে প্রজন্মগত সীমারেখা অতিক্রমের ভিত গড়ে হারিয়ে গেছেন। তার অকাল মৃত্যুর ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা আমাদের জন্য যে কতোটা কঠিন, তা প্রতিনিয়তই স্পষ্ট হচ্ছে তার অনুপ্রেরণা ও ভালবাসায় গুমড়ে গুমড়ে কাঁদছে তারা। মহান আল্লাহ্ পাক তাকে জান্নাতুল ফিরদাউস নসিব করুক আমিন।
যেকোন মুসলিম ব্যক্তির জন্য জান্নাতের উঁচু মাকাম কামনা করা যায়। আর জান্নাতের উঁচু মাকাম হ’ল জান্নাতুল ফেরদাউস। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা যখন আল্লাহর কাছে জান্নাত প্রার্থনা করবে, তখন জান্নাতুল ফিরদাউস প্রার্থনা করবে। কারণ তা জান্নাতের মধ্যবর্তী এবং সর্বোচ্চ জান্নাত। সেখান থেকেই জান্নাতের নদীসমূহ প্রবাহিত হয় এবং এর ওপরই আল্লাহর আরশ অবস্থিত (বুখারী হা/২৭৯০; মিশকাত হা/৩৭৮৭)।
হাফেয ইবনু হাজার (রহঃ) বলেন, এই হাদীছ প্রমাণ করে যে, ফেরদাউস সকল জান্নাতের উপরে অবস্থিত। অতএব মুমিনের জন্য জান্নাতের উঁচু মাকাম তথা জান্নাতুল ফেরদাউস প্রার্থনা করা যাবে। তবে ‘মাক্বামে মাহমূদ’ কারো জন্য প্রার্থনা করা যাবে না। কারণ সে স্থানটি রাসূল (ছাঃ)-এর জন্য খাছ। আর সেটি জান্নাতের কোন অংশ নয়। বরং শাফা‘আতের স্থান (ইবনুল জাওযী (মৃ. ৫৭৯ হি.), যাদুল মাসীর ফী ইলমিত তাফসীর ৩/৪৭)।
Leave a Reply